Wednesday, October 19, 2022

Bengali Meaning of the poem "Brotherhood" by Octavio Paz. বাংলায় ব্রাদারহুড কবিতা।

Brotherhood: Homage to Claudius Ptolemy

Octavio Paz


Original name of Poem 

Harmandad

Originally written in

Mexican Language

Translated by 

Elliot Weinberger, American Novelist

Published in 

1987 in “Octavio Paz: Collected    Poems”

Written In

Blank Verse. It is a philosophical poem


Brotherhood: Homage to Claudius Ptolemy

Octavio Paz

I am a man: little do I last

and the night is enormous.

But I look up:

the stars write.

Unknowing I understand:

I too am written,

and at this very moment

someone spells me out.


ভ্রাতৃত্ব

অক্টেভিও পাজ 

আমি একজন মানুষ: আমি অল্প দিন বাঁচবো

এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বা মহাবিশ্ব অসীম

কিন্তু আমি হাল না ছেড়ে উপরের দিকে তাকালাম

দেখলাম তারা গুলি লিখে রেখেছে

না জেনেই আমি বুঝে গেলাম

তখন আমাকে দিয়ে লেখানো হল

এবং ঠিক ওই মুহূর্তে

কোন একজন আমায় বুঝলো বা জানলো


ব্যাখ্যাঃ জীবনের বিশেষ একটি পর্যায়ে এসে আমাদের কবি উপলব্ধি করলেন যে মানুষ জাতি হল পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ জাতি। কিন্তু এই মানুষের আয়ু খুব ক্ষুদ্র। কবি এটাও বুঝতে পারলেন এই মহাবিশ্বের সাপেক্ষে আমরা কতটা তুচ্ছ এবং আমাদের মৃত্যুর পর যে জীবন শুরু হয় সে জীবন আমরা ভোগ না করতে পারলেও সে জীবন অসীম। এই উপলব্ধি থেকে কবির খুব আফসোস হল এই ভেবে যে আমরা পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ জীব হওয়া সত্ত্বেও আমাদের জীবিত কাল খুব ক্ষুদ্র এবং মহাকাশের সাপেক্ষে আমরা খুবই তুচ্ছ। মৃত্যুর পর আর কেউ কবির কথা মনে রাখবে না। তখন কবির মধ্যে অমরত্ব লাভের ইচ্ছা জাগলো। তিনি তখন ব্যর্থ হয়ে উপরে আকাশের দিকে তাকালেন। আকাশের দিকে তাকিয়েই কবি অমরত্বের চাবিকাঠি খুঁজে পেলেন। কবির কাছে এই আকাশটি হলো একটি খাতার পাতা এবং তারা গুলি হল ওই পাতার উপর লেখা অক্ষর। সেই তারা গুলি কি যেন লিখে রেখেছে। কবি বুঝতে পারলেন লক্ষ কোটি বছর আগে বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে আমাদের এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল এবং সেই ঘটনাটিকে অমর করে রাখার জন্য তারা গুলি সৃষ্টি হয়েছিল। এই বিষয় থেকে কবি উপলব্ধি করলেন অমরত্ব লাভের একমাত্র উপায় জীবিত কালে কোন কিছু সৃষ্টি  করে যাওয়া। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অনুভব করলেন মানুষ মরণশীল কিন্তু তার সৃষ্টিকর্ম অমর। তাই তিনি সঙ্গে সঙ্গে কবিতা লিখতে শুরু করলেন। যদিও কবিতার মধ্যে লেখা আছে কবিকে দিয়ে লেখানো হলো। এখানে কবি যদিও নিজেই কবিতা লিখলেন তবুও কবিতার দেবীর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য তিনি বললেন "আমাকে দিয়ে লেখানো হলো।" ঠিক যেই মুহূর্তে কোন একজন পাঠক কবির এই কবিতাটি পড়বেন সঙ্গে সঙ্গে পাঠক কবিকে জানতে পারবেন। এই জানতে পারা থেকেই কবির সাথে পাঠকের মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন হবে। এই সম্পর্কের নামই হল ভাতৃত্ব এবং এই ভ্রাতৃত্বের মধ্যে দিয়েই কবি চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন।


No comments:

Post a Comment