"The World Is Too Much With Us"
আমাদের কাছে পৃথিবীর ভার বড় অসহ্যকর
by
William Wordsworth
উইলিয়াম ওয়ার্ডসওর্থ
The world is too much with us; late and soon,
আমাদের কাছে পৃথিবীর ভার বড় অসহ্যকর; আগে পরে
Getting and spending, we lay waste our powers;—
আমরা আমাদের ক্ষমতা ব্যয় করি আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে দিয়ে
Little we see in Nature that is ours;
আমরা আমাদের প্রকৃতির দিকে খুব কমই দৃষ্টি দিই
We have given our hearts away, a sordid boon!
হীন লোভের প্রতি আমরা আমাদের হৃদয় উজাড় করে দিয়েছি!
This Sea that bares her bosom to the moon;
পূর্ণিমার চাঁদের আলো এই সমুদ্রের বক্ষ কে ভরিয়ে দেয়
The winds that will be howling at all hours,
যে বাতাস সারাক্ষণ গর্জনরত থাকে
And are up-gathered now like sleeping flowers;
এবং সেই বাতাস এখন ঘুমন্ত ফুলের মত স্থীর হয়ে আছে;
For this, for everything, we are out of tune;
এই সমস্ত কিছুর জন্য আমরা এখন বেসুরো / ছন্দহীন;
It moves us not. Great God! I’d rather be
এই প্রকৃতি এখন আর আমার হৃদয় কে দোলায় না। হে ঈশ্বর! আমি বরং হতে চাই
A Pagan suckled in a creed outworn;
অখ্রিস্টান / প্রকৃতি প্রেমিক কম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মাবলম্বী
So might I, standing on this pleasant lea,
তাই আমি দাড়িয়ে আছি এই মনরম প্রান্তরে
Have glimpses that would make me less forlorn;
যেই প্রাকৃতিক দৃশ্য আমায় কম অবহেলিত অনুভব করাবে;
Have sight of Proteus rising from the sea;
যেখান থেকে আমি দেখতে পাবো সমুদ্র থেকে সমুদ্র-দেবতা উঠে আসছে
Or hear old Triton blow his wreathèd horn.
অথবা আমি শুনতে পাবো বৃদ্ধ মৎস্যা পুরুষ কে যে তার ফুলে ঢাকা বাঁশি বাজায়
মূল বিষয়বস্তু
কবির চারপাশে থাকা মানুষজনের পাগলের ন্যায় অর্থের পিছনে দৌড়ানো—কবিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে যন্ত্রণাক্লিষ্ট করেছে। মানুষ টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে আজ তার সমস্ত মানবিক দিকগুলি বিসর্জন দিয়েছে। মানুষ আজ একমাত্র ম্যামন (ধন দেবতা)- কে দেবতার আসনে বসিয়েছে। পার্থিব সম্পদ বৃদ্ধি তার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। এই অর্থের পিছনে ছুটতে গিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সুসম্পর্ক আজ ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া এই সম্পর্ক কবিকে ব্যথিত করেছে। প্রকৃতির উপাসক এই কবির হদয়ের আকুতি এই কবিতার মূল বিষয়রূপে ফুটে উঠেছে।
সারসংক্ষেপ
অর্থ উপার্জনের নেশায় মেতে ওঠা ইঁদুর দৌড়ই মানুষ এবং প্রকৃতির মধুর সম্পর্কের মূল বিভাজিকা। স্বার্থপরের ন্যায় অর্থলোলুপতাই যে আধুনিক মানব জীবনে দুর্দশা ঢেকে এনেছে সে বিষয়ে কবি সন্দেহাতীত। শৈশব থেকে মৃত্যু এই দীর্ঘ সময় জুড়ে শুধু পাওয়া আর ব্যয় করার ন্যায়হীন কাজই আমাদের প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। চন্দ্রালোকে নৃত্য করা সমুদ্রের ঢেউ, গর্জন করে প্রবাহিত হওয়া বাতাস আজ আর মানুষকে বিচলিত করে না। কবি তাঁর খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাস পরিত্যাগ করেও প্রকৃতি প্রেমে অনড় থাকতে চান।