Sunday, March 7, 2021

Bengali Meaning of The Poetry of Earth (বাংলা অর্থ ও ব্যাখ্যা)


THE POETRY OF EARTH
পৃথিবীর গান

JOHN KEATS
জন কিটস


The Poetry of earth is never dead:
পৃথিবীর গান কখনোই মরে না

When all the birds are faint with the hot sun,
যখন সমস্ত পাখিরা সূর্যের উত্তাপে ক্লান্ত হয়

And hide in cooling trees, a voice will run
এবং গাছের ঠান্ডা ছায়াতে আশ্রয় নেয় তখন একটি শব্দ ছুটে বেড়ায়

From hedge to hedge about the new-mown mead;
সদ্য ছাটা তৃণভূমির এক ঝোপ থেকে অন্য ঝোপে

That is the Grasshopper’s—he takes the lead
এটি হলো ঘাসফড়িং সে নেতৃত্বের দায়িত্ব নেয়

In summer luxury,—he has never done

গ্রীষ্মকালের বিলাসিতাতে -- তার কখনোই শেষ হয় না

With his delights; for when tired out with fun
তার আনন্দ: যখনই সে ক্লান্ত হয় যায় মজা করতে করতে

He rests at ease beneath some pleasant weed.

তখন সে স্বস্তিতে বিশ্রাম নেয় কিছু মনোরম আগাছার তলে



The poetry of earth is ceasing never:

পৃথিবীর গান কখনো থামে না

On a lone winter evening, when the frost

একটি নির্জন শীতের সন্ধ্যায় যখন তুষারপাত

Has wrought a silence, from the stove there shrills

চারিদিকে নিস্তব্ধতা সৃষ্টি করে তখন অগ্নিকুন্ডের কাছ থেকে তীক্ষ্ণ সুরে ডেকে ওঠে

The Cricket’s song, in warmth increasing ever,

ঝিঁঝিঁপোকার গান, উষ্ণতা পেয়ে তা শুধু বেড়েই যায়

And seems to one in drowsiness half lost,

এবং একজন অর্ধ ঘুমন্ত লোকের কাছে মনে হয়

The Grasshopper’s among some grassy hills.
যেন ঘাসফড়িং গান গেয়ে বেড়াচ্ছে কোন ঘাস যুক্ত পাহাড়ে।


= ব্যাখ্যা =

এই কবিতাটি রোমান্টিক কবি জন কিটস এর লেখা একটি পেট্রারকান সনেট। কবি তার বন্ধু Leigh Hunt এর সাথে একদিন প্রতিযোগিতা করে এই কবিতাটি লেখেন। তারা দুজনে ঠিক করেন একই বিষয়ের উপরে কবিতা লিখবেন এবং তার বন্ধু যে কবিতা টি লেখেন তার নাম "To The Grasshopper and The Cricket" এবং কিটস যে কবিতা টি লেখেন সেটি হলো "The Poetry of Earth"। কবিতাটি রচিত হয় 30/12/1816 তারিখে এবং কবিতাটি প্রকাশিত হয় 1884 সালে "The Poetical Works of John Keats" কাব্যগ্রন্থে।


কবিতাটি আয়াম্বিক পেন্টামিটারে লেখা এবং এরমধ্যে একটি অক্টেভ এবং একটি সেসটেট রয়েছে। প্রথম প্যারা অর্থাৎ অক্টেভে গ্রীষ্মকালের বর্ণনা করা হয়েছে এবং শেষ পারা অর্থাৎ সেস্টেটে শীতকালের বর্ণনা করা হয়েছে। কবিতাটির রাইম স্কীম হলো abba-abba-cde-cde।


কবি এই কবিতায় দেখিয়েছেন সময়, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন পৃথিবীর গান কখনো থামে না। প্রথমে তিনি গ্রীষ্মকালের তাপদাহের সময় এর বর্ণনা দিয়েছেন। সূর্যের প্রচন্ড উত্তাপে যখন সমস্ত পাখিরা তাদের গান গাওয়া থামিয়ে দেয় এবং বিশ্রামের জন্য যখন তারা গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয় তখন যেন মনে হয় পৃথিবীর গান থেমে যাবে। কিন্তু কবি দেখতে পান ঠিক সেই সময় পৃথিবীর গানকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব নেয় ঘাসফড়িং। সে সদ্য ছাটা তৃণভূমির এক ঝোপ থেকে অন্য ঝোপে উড়ে বেড়ায় এবং শব্দ সৃষ্টি করে। অন্যদের কাছে গ্রীষ্মকাল কষ্টের হলেও তার কাছে গ্রীষ্মকাল খুবই আরামের এবং বিলাসিতার। গ্রীষ্মের উত্তাপ তার আনন্দকে কখনোই কমাতে পারেনা। কিন্তু যখন মজা করতে করতে সে ক্লান্ত হয়ে যায়, তখন সে বিশ্রাম নেয় কিছু মনোরম আগাছার নিচে নিজের শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য।


আবার যখন আরেকটি প্রতিকূল ঋতু শীত আসে তখন প্রচণ্ড তুষারপাতের সময় কোন এক সন্ধ্যায় চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে যায়। আপাতভাবে মনে হয় পৃথিবীর গান যেন থেমে গেছে। কিন্তু তখনই কবি শুনতে পায় কোন এক আগুনের পাশ থেকে তীক্ষ্ণ সুরে ঝিঁঝিঁ পোকা ডেকে ওঠে। আগুনের উত্তাপ যত বাড়তে থাকে, ঝিঁঝিঁপোকার গানের সুরও তত তীব্র হয়। তখন পাশে থাকা একজন অর্ধ ঘুমন্ত লোকের কাছে এই ঝিঁঝিঁপোকার গান মনে হয় যেন কোন এক ঘাসফড়িং পাহাড়ি ঘাসের মধ্যে গান গেয়ে বেড়াচ্ছে। কবি এর মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চাইছেন যে পৃথিবীর সকল ঋতু আবর্তনশীল এবং পৃথিবীর গান অবিরাম। এটি এতটাই অবিরাম যে একজন অর্ধ ঘুমন্ত লোক যেনো মনে করে পৃথিবীর সকল গানগুলির মধ্যে কোন বিরতি নেই এবং তাই সে একটি গান শুনে অন্য গানের কথা ভাবে।

No comments:

Post a Comment