Friday, September 25, 2020

Bengali Meaning of Prayer Before Birth by Louis MacNeice.



Prayer Before Birth
Louis MacNeice

I am not yet born; O hear me.
Let not the bloodsucking bat or the rat or the stoat or the
club-footed ghoul come near me.

I am not yet born, console me.
I fear that the human race may with tall walls wall me,
with strong drugs dope me, with wise lies lure me,
on black racks rack me, in blood-baths roll me.

I am not yet born; provide me
With water to dandle me, grass to grow for me, trees to talk
to me, sky to sing to me, birds and a white light
in the back of my mind to guide me.

I am not yet born; forgive me
For the sins that in me the world shall commit, my words
when they speak to me, my thoughts when they think me,
my treason engendered by traitors beyond me,
my life when they murder by means of my
hands, my death when they live me.

I am not yet born; rehearse me
In the parts I must play and the cues I must take when
old men lecture me, bureaucrats hector me, mountains
frown at me, lovers laugh at me, the white
waves call me to folly and the desert calls
me to doom and the beggar refuses
my gift and my children curse me.

I am not yet born; O hear me,
Let not the man who is beast or who thinks he is God
come near me.

I am not yet born; O fill me
With strength against those who would freeze my
humanity, would dragoon me into a lethal automaton,
would make me a cog in a machine, a thing with
one face, a thing, and against all those
who would dissipate my entirety, would
blow me like thistledown hither and
thither or hither and thither
like water held in the
hands would spill me.

Let them not make me a stone and let them not spill me.
Otherwise kill me. 



জন্মানোর আগে প্রার্থনা 
লুই ম্যাকনিস 

(ভয় প্রকাশ) 
আমি এখনো জন্মায়নি; আমার কথা শোনো 1 
রক্তচোষা বাদুর অথবা রোগ বহনকারী ইঁদুর অথবা বেজি 2 
অথবা গদার মতো পা যুক্ত দুষ্টু আত্মারা আমার কাছে যেন না আসে। 3 


(ভয় প্রকাশ) 
আমি এখনো জন্মাই নি, আমায় করুণা করো। 4 
আমি ভয় পাচ্ছি যে মানবজাতি হয়তো আমাকে জাতপাতের উঁচু দেওয়াল দিয়ে আমাকে পৃথক করে দেবে, 5 
তারা আমাকে শক্তিশালী মাদক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করবে, চতুর মিথ্যার দাঁড়া আমাকে প্রলোভিত করবে 6 
ধ্বংসকারী যন্ত্রের দ্বারা আমায় যন্ত্রণা দেবে, রক্তে আমায় স্নান করাবে। (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছায়া) 7 


(ভ্রূণ শিশুর দাবি) 
আমি এখনো জন্মাই নি; আমায় দাও 8 
এমন বিশুদ্ধ জল যা আমায় ভালবাসবে/সোহাগ করবে, এমন ঘাস যা আমার জন্য বৃদ্ধি পাবে, এমন গাছ যে আমার সাথে কথা বলবে 9 
এমন আকাশ ও পাখি যারা আমার জন্য গান গাইবে এবং জ্ঞানের বিশুদ্ধ কিরণ দাও 10 
আমার মনের অন্ধকার অংশে যা আমায় পথ দেখাবে। 11 


(ক্ষমা প্রার্থনা) 
আমি এখনো জন্মাইনি; আমায় ক্ষমা করো 12 
আমার পাপের জন্য যেই পাপ পৃথিবী আমায় করতে বাধ্য করবে, 13 
আমার কথার জন্য যখন তারা আমার সাথে কথা বলবে, আমার ভাবনার জন্য যখন তারা আমায় ভাবাবে 14 
আমার বিশ্বাসঘাতকতার জন্য যা বিশ্বাসঘাতকরা আমার অজান্তে আমার মধ্যে সৃষ্টি করবে, 15 
ক্ষমা করো আমার জীবনকে যখন তারা আমার হাত দিয়ে হত্যা করাবে 16 
আমার মৃত্যুকে যখন তারা আমার মৃত্যু নিয়ে তাদের স্বার্থ মেটাবে 17 


(অগ্রিম প্রস্তুতি প্রার্থনা) 
আমি এখনো জন্মাই নি; আমাকে অভ্যাস করাও 18 
সেই ভূমিকার জন্য যেই ভূমিকা আমাকে পালন করতে হবে এবং আমাকে অভ্যাস করা ও সেই সূত্রে যেটি আমাকে নিতে হবে যখন 19 
বৃদ্ধ মানুষেরা আমাকে বক্তৃতা দেবে, যখন আমলারা আমায় ঝারি মারবে, যখন পর্বতমালা 20 
আমার প্রতি ভ্রু কুঞ্চিত করবে, যখন প্রেমিকারা আমার প্রতি হাসবে, 21 
যখন সাদা ঢেউগুলি আমায় ডাকবে বোকামি করার জন্য এবং মরুভূমি আমায় ডাকবে 22 
ধ্বংস করার জন্য এবং যখন ভিখারিরা প্রত্যাখ্যান করবে 23 
আমার দান এবং যখন আমায় সন্তানরা আমায় অভিশাপ দেবে। 24 


( অনুরোধ) 
আমি এখনো জন্মাইনি; আমার কথা শোনো,25 
যে লোক পশুর মত অথবা যে নিজেকে ভগবান ভাবে 26 
সে যেন আমার কাছে না আসে। 27 


(যুদ্ধের প্রতি বিরূপ ভাব প্রকাশ) 
আমি এখনো জন্মাইনি, আমাকে ভরিয়ে দাও 28 
শক্তি দিয়ে, যা দিয়ে আমি প্রতিরোধ করতে পারব তাদেরকে যারা আমার মানবিকতাকে রুদ্ধ করে, 29 
যারা আমাকে জোর করে নিয়ে যায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের দিকে, 30 
যারা আমাকে এমন যন্ত্রের যন্ত্রাংশে পরিণত করে যার 31 
একটি মুখ আছে এবং শক্তি দাও তাদের বিরুদ্ধে 32 
যারা আমার সম্পূর্ণ স্বত্তাকে ক্ষয় করবে 33 
যারা আমাকে আগাছার মত এদিক ওদিক উড়িয়ে দেবে 34 
অথবা যারা আমাকে যত্রতত্র 35 
হাতের জলের মত 36 
ছিটিয়ে দেবে। 37 


(নিরাপত্তা প্রার্থনা) 
তারা যেন আমাকে পাথরে না পরিণত করে এবং আমাকে ছিন্নভিন্ন না করে। 38 
নয়তো ভ্রূণ থাকা অবস্থাতেই আমায় যেন হত্যা করা হয়। 39





বাংলায় ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন 1944 সালে 'স্প্রিংবোর্ড' কাব্যগ্রন্থে এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এই কবিতা তে আমরা দেখতে পাই একটি অজাত শিশুর আর্তি। শিশুটি এখনো জন্মায়নি কিন্তু সে এখনই জেনে গেছে কোন কোন বিপদের সম্মুখীন সে হতে চলেছে। 


সেই অজাত শিশুটি চাইছে কোনভাবেই যেন তার কাছে রক্তচোষা বাদুর, ইঁদুর , বেজি ইত্যাদির মতো ভয়ানক প্রাণী গুলো যেন না। সে আরোও চাইছে দুষ্টু আত্মা তার থেকে যেন দূরে থাকে। 


সেই শিশুটি জন্মানোর আগেই করুনা প্রার্থনা করছে মানব জাতির কাছ থেকে। সে ভয় পাচ্ছে হয়তো মানবজাতি তাকে জাতি ধর্মের যাঁতাকলে ফেলে বিভক্ত করে দেবে। হয়তো মানবজাতি তাকে নেশাগ্রস্ত করে তুলবে, চতুর মিথ্যার দ্বারা তাকে প্রতারিত করবে। সে ভয় পাচ্ছে হয়তো যন্ত্রের দ্বারা তাকে রক্ত নিয়ে খেলা করতে বাধ্য করবে। 


সেই অজাত শিশুটির মনে খুব আশা। সে চাইছে তার চারিদিকে বিশুদ্ধ জল থাকবে , তৃণভূমি থাকবে, গাছ তার সাথে কথা বলবে, আকাশ পাখিরা তার জন্য গান গাইবে। সে আশা করছে যে প্রকৃতি তাকে বিশুদ্ধ জ্ঞান প্রদান করবে যার দ্বারা তার মনের অন্ধকার দূর হবে। 


অজাত শিশুটি সকলের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নেয় কারণ সে জানে সমাজ তাকে বাধ্য করবে পাপ করতে, সমাজ তাকে বাধ্য করবে খারাপ কথা বলতে, সমাজ তাকে বাধ্য করবে খারাপ জিনিস ভাবতে, সমাজের প্রতারকরা তাকে বাধ্য করবে অন্যদের প্রতারিত করতে। এমনকি তারা তার হাত দিয়ে খুন করাবে এবং যখন সেই শিশুটি মারা যাবে তখন তারা তার মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করবে। সেও যত শিশুটি আগে থেকেই এই সমস্ত কিছু উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তাই সে আগেই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। 


অজাত শিশু টি জানে যে তাকে অনেক কিছু সম্মুখীন হতে হবে। তাই সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে সেই সবকিছুর সম্মুখীন হওয়ার জন্য ঈশ্বর তাকে যেন আগেভাগেই অভ্যাস করায়। সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে তাকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে যাতে সে তার ভূমিকায় ঠিকমতো অংশগ্রহণ করতে পারে, যাতে যখন বৃদ্ধ মানুষেরা তাকে জ্ঞান দেবে, যখন আমরা তাকে ঝাড়ি মারবে, যখন পর্বত তার দিকে ভ্রুকুটি করবে, যখন প্রেমিকারা তার প্রতি হাসবে, যখন ভিখারিরা তার ভিক্ষা প্রত্যাখ্যান করবে এবং তার সন্তানরা তাকে অভিশাপ দেবে।


অজাত শিশুটি চিৎকার করে বলে পশুর মতো মানুষেরা তার কাছে যেন না আসে, অথবা যে মানুষগুলো নিজেকে ভগবান ভাবে তারা যেন তার কাছে না আসে।


অজাত শিশুটি আগেভাগেই জেনে গেছে যুদ্ধের ভয়াবহতা। সে জানে কিভাবে যুদ্ধ প্রেমীরা নিষ্পাপ মানুষদের যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়। তাই সে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন যেন ঈশ্বর থাকে এমন শক্তি দেন যাতে সে সেই সকল লোকগুলো কে রুখে দিতে পারে যারা তাঁর মানবিকতাকে রুদ্ধ করে দেয়, যারা তাকে জোর করে প্রাণঘাতী অস্ত্র এর দিকে নিয়ে যায়, যারা থাকে প্রাণঘাতী যন্ত্রের অংশে পরিণত করতে চায় এবং যারা তার সত্তাকে বিলুপ্ত করতে চায় এবং যারা তার দেহকে জল বিন্দুর মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে চায় যুদ্ধের গোলার দ্বারা। 


অন্তিম দুটি লাইনে সেই অজাত শিশুটি নিরাপত্তা প্রার্থনা করছেন। সে চাইছে কেউ যেন তাকে পাথরে না পরিণত করে, কেউ যেন তাকে ছিন্নভিন্ন না করে দেয়। জন্মানোর পর যদি এমনটি তার সাথে হয়, তাহলে জন্মানোর আগেই তাকে যেন হত্যা করা হয়

2 comments:

  1. Loved reading this! The information was presented in a clear and engaging manner. Click Test provided accurate results and allowed me to track my progress over time.

    ReplyDelete