Tuesday, March 15, 2022

Bengali Meaning of the Poem "Daybreak" by Henry Wadsworth Longfellow. Daybreak কবিতার বাংলা অর্থ ও বিষয়বস্তু


Daybreak
Henry Wadsworth Longfellow

ঊষা
হেনরি ওয়াডসওর্থ লংফেলো


A wind came up out of the sea,
And said, "O mists, make room for me."

একটি বাতাস সমুদ্র থেকে ওপরে উঠে এলো,
এবং বলল, “ও কুয়াশা, আমার যাওয়ার জন্য জায়গা করে দাও।”

It hailed the ships, and cried, "Sail on,
Ye mariners, the night is gone."

বাতাস উচ্চস্বরে জাহাজ গুলি কে ডাকল এবং চিৎকার করে বলল, “ভেসে পরো,
ওহে নাবিক রা, রাত্রি যে পোহাল / শেষ হয়ে গেল।”

And hurried landward far away,
Crying, "Awake! it is the day."

এবং বাতাস ছুটে গেল দূরের স্থলভাগের দিকে,
চিৎকার করতে লাগলো, “ওঠো! দিন হয়ে গেছে।”

It said unto the forest, "Shout!
Hang all your leafy banners out!"

বাতাস বনভূমি কে বলল , “মর্মর ধ্বনি করো!
তোমার পাতা যুক্ত ডালপালা গুলি প্রসারিত করো!”

It touched the wood-bird's folded wing,
And said, "O bird, awake and sing."

এটা বনের পাখির সঙ্কুচিত ডানাকে স্পর্শ করল,
এবং বলল, “ও পাখি, ওঠো এবং গান করো।”

And o'er the farms, "O chanticleer,
Your clarion blow; the day is near."

বাতাস খামার বাড়ির ওপর থেকে বলল, “ও মোরগ,
উচ্চ স্বরে ডাকো; দিন খুব কাছে।”

It whispered to the fields of corn,
"Bow down, and hail the coming morn."

বাতাস ক্ষেতের শস্য গুলিকে ফিসফিস করে বলল,
“তোমার মাথা নোয়াও, এবং আগত সকাল কে অভিবাদন করো।”

It shouted through the belfry-tower,
"Awake, O bell! proclaim the hour."

বাতাস গির্জার ঘণ্টার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার করে বলল,
“ও ঘণ্টা! ওঠো, সময়ের ঘোষণা করো।”

It crossed the churchyard with a sigh,
And said, "Not yet! in quiet lie."

বাতাস কবর খানা অতিক্রম করল একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
এবং বলল, “এখন সময় হয় নি! শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে থাকো।”



বিষয়বস্তু ও ব্যাখ্যা

কবিতাটি 1858 সালে Birds of Passage কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। কবিতাটিতে বাতাস প্রধান চরিত্র। একটি বাতাস কিভাবে সমুদ্র থেকে জন্ম নিয়ে প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান এর কাছে ছুটে যায় এবং তাদের ঘুম থেকে জাগায়, তারই বর্ননা কবিতায় করা হয়েছে।

ভোরবেলায় একটি বাতাস সমুদ্র থেকে উঠে আসে এবং দেখতে পায় ঘন কুয়াশা তার পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বাতাস দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছুটে যেতে কারণ তার কাঁধে দায়িত্ব রয়েছে সবাইকে ঘুম থেকে জাগানোর। তাই সে কুয়াশাকে বলে তার জন্য রাস্তা তৈরি করে দিতে।

তারপর বাতাস পৌঁছে যায় নোঙ্গর করা জাহাজের কাছে। চিৎকার করে বাতাস নাবিকদের বলে নতুন করে যাত্রা শুরু করতে কারণ রাত্রি শেষ হয়ে গেছে।

তারপর বাতাস দ্রুত ছুটে যায় দূরের স্থলভাগের দিকে। ছুটে যাওয়ার সময় তার সাথে যার ই দেখা হচ্ছে তাকেই বাতাস চিৎকার করে বলছে , জাগো জাগো , দিন চলে এসেছে।

এরপর বাতাস পৌঁছে যায় বনভূমিতে। সেখানে বাতাস চিৎকার করে বনভূমিকে বলে, মর্মর শব্দ করতে, এবং তাদের পাতাযুক্ত ডালপালা গুলিকে প্রসারিত করতে।

বাতাস দেখতে পায়, বনের মধ্যে পাখিগুলি ডানা ভাঁজ করে শুয়ে আছে। তখন বাতাস পাখির সংকুচিত ডানাগুলো কে স্পর্শ করে এবং পাখিগুলোকে ঘুম থেকে উঠে গান করার জন্য আহ্বান করে।

এরপর বাতাস ছুটে যায় খামার বাড়ির উপর দিয়ে। তখন বাতাস উচ্চস্বরে মোরগগুলোকে বলে, চিৎকার করে দিনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে।

বাতাস ফিসফিস করে মাঠ ভর্তি শস্য গুলোকে তাদের মাথা নোয়াতে বলে এবং আগত সকাল কে অভিবাদন জানাতে বলে। পৃথিবীর সমস্ত শক্তি এবং প্রাণের উৎস হল সূর্য। তাই সূর্যের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য শস্য গুলিকে মাথা নোয়াতে বলে।

এরপর বাতাস পৌঁছে যায় গির্জায়। সেখানে বাতাস গির্জার ঘণ্টার মধ্য দিয়ে দ্রুত বয়ে যায় এবং চিৎকার করে গির্জার ঘণ্টা কে বলে দিনের আগমনের ঘোষণা করতে।

অবশেষে বাতাস পৌঁছায় গির্জার কবরখানায়। সেখানে বাতাস একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে এবং কবরে শায়িত মৃত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে থাকতে কারণ এখনও তাদের জেগে ওঠার সময় হয়নি। প্রকৃতির সমস্ত উপাদানগুলিকে বাতাস জাগাতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু কবরখানায় শায়িত মৃত ব্যক্তিদের বাতাস জাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বাতাস এখানে এসে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। অন্যদিকে কবি মনে করেন এখন মৃত ব্যক্তিদের জেগে ওঠার সময় হয়নি। কিন্তু একদিন মৃত ব্যাক্তিরা জেগে উঠবে যেদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে এবং সমস্ত জীবিত মানুষ মারা যাবে। সেদিন সমস্ত পৃথিবীকে মৃত ব্যক্তিরা শাসন করবে।

No comments:

Post a Comment